২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪১ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
টাকার অভাবে স্ত্রী ও ১২ বছরের মেয়েকে দিয়ে নিজ বাড়িতেই যৌন ব্যবসা শুরু করেছিলেন এক ভারতীয় বাবা। দুই বছর ধরে প্রতি সপ্তাহে ধর্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে ১২ বছর বয়সের ওই কিশোরী বলেন, এই ধর্ষণকারীদের অনেকেই তার বাবার বন্ধু। আবার বেশ কয়েকজন অপরিচিতও ছিল।
ওই কিশোরী বলছে, এই ঘটনার শুরু হয়েছিল যখন তার বাবা বাসায় বন্ধুদের মদ খেতে ডেকেছিল। মাতাল সেই মানুষগুলো তার বাবা-মায়ের সামনেই তাকে নিয়ে মজা করতো এবং গায়ে স্পর্শ করতো। অনেক সময় কোন কোন পুরুষ তার মাকে নিয়ে কোনো রুমের মধ্যে চলে যেত।
এরপর একদিন তার বাবা তাকে জোর করে তার এক বন্ধুর সঙ্গে তাকে একটি রুমে ঢুকতে বাধ্য করেন। এরপর তিনি বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। বাবার সেই বন্ধুর হাতে তাকে ধর্ষিত হতে হয়। অচিরেই তার শৈশব একটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। তার বাবা নানা রকম পুরুষকে ফোন করতো।
মেয়ের সঙ্গে থাকার জন্য তাদের সময় ঠিক করে দিত এবং সেসব পুরুষের কাছ থেকে অর্থ নিতো। এরপর থেকে পালাক্রমে গত দুই বছরে মেয়েটিকে অন্তত ৩০ জন পুরুষ ধর্ষণ করেছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর একজন শিক্ষকের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে শিশুকল্যাণ কর্মকর্তারা মেয়েটিকে তার বিদ্যালয় থেকে উদ্ধার করে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসে। শিশুকল্যাণ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,
ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই ঘটনায় তার বাবাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শিশুকে যৌন উদ্দেশ্যে ব্যবহার এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সবার জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে।
পুলিশ মেয়েটির বাবার পরিচিত আরও পাঁচজন ব্যক্তিকে খুঁজছে যাদের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। পরিবারটির পরিচিত ২৫ জন ব্যক্তির নাম ও ছবি দিয়ে একটি তালিকা তৈরি করে মেয়েটিকে দেখিয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই কিশোরী জানান, তার কারো চেহারা মনে পড়ে না। সবার চেহারাই ঝাপসা।
দক্ষিণ ভারতের একটি বর্ধিষ্ণু শহরে বসবাস করতো নির্যাতিতার পরিবার। উঁচু পাহাড়, পরিষ্কার ঘরবাড়ি আর স্বচ্ছ নদীর জন্য পরিচিত শহরটি। গত সেপ্টেম্বরে মেয়েটি যে এলাকায় থাকতো তার কাছাকাছি কয়েকজন শিক্ষকের কাছ থেকে কিছু তথ্য পায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
পরিবারটির মধ্যে কিছু যেন ঝামেলা আছে এবং তার বাড়িতে কিছু একটা চলছে। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা উচিত বলে মনে হয় তাদের। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে নারীদের একটি সহায়তা গ্রুপ থেকে একজন পরামর্শ দাতাকে ডেকে পাঠালেন।
পরদিন সকালে তিনি এলেন এবং শিক্ষকদের কক্ষে মুখোমুখি বসলেন তারা। ওপর তলায় বসে ছিলেন শিশুটির মা। তিনি তখনও জানেন না কি ঘটতে চলেছে। তিনি জানেন,
এটি ছিল স্রেফ একটি রুটিন মাফিক অভিভাবক-শিক্ষক বৈঠক। পরে ওই পরামর্শ দাতা মেয়েটিকে বললেন, তোমার পরিবার আর জীবন সম্পর্কে আমাকে সব খুলে বলো। তারা চার ঘণ্টা ধরে কথা বললেন। মেয়েটি বললো যে, বাড়িতে তার কঠিন সময় যাচ্ছে